আলীর গুহায় এক রাত

Tashdid Rezwan Mugdho (1983-2012)
ছবি: মেহেরুন ফারুক

ট্রাভেলারর্স অব বাংলাদেশ এর সঙ্গে রাতের বাসেই রওনা দেব চকরিয়ার দিকে, সেখান থেকে আলী কদম। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে এই এলাকার নাম আলী কদম কেন? গুহার নামই বা আলীর গুহা কেন? জানা গেল বান্দরবান জেলার ওয়েব সাইট থেকে কিভাবে আলী কদমের নাম করণ, ‘কথিত আছে ৩৬০ আওলিয়া উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছিলেন। এদের একটি সংখ্যা হয়তো বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামের জনয় নিশান উড়িয়েছিলেন। এঁদেরই মধ্যে হয়তো ‘আলী’ নামের কোন সাধক পার্বত্য এ অঞ্চলে আসেন। যার পদধূলিতে ধন্য হয়ে এ এলাকার নাম আলী কদম।’

আমাদের বাস ছাড়বে কমলাপুর থেকে। কমলাপুর পৌঁছানোর পর একজন একজন করে সবাই আসতে শুরু করলেন। রাব্বি ভাই, রাহাত ভাই, মৃদুল ভাই, লিসা আপা, পিঙ্কি আপা, ফয়সাল ভাই, আব্দুল্লাহ ভাই, মুগ্ধ ভাই। এর আগে সবার সঙ্গেই পরিচয় ছিল শুধু দুইজন ছাড়া একজন মৃদুল ভাইয়ের বোন লিসা আপা, আর মুগ্ধ ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম দেখা। মুগ্ধ ভাইকে দেখে প্রথমেই মুগ্ধ হলাম তাঁর চুলের স্টাইল আর মুখের দাড়ির স্টাইল দেখে। এক অদ্ভূত উপায়ে শৈল্পিকভাবে দাড়ি কেটেছেন। এই দাড়ি দেখে যে কেউ আবার দারিয়ে একবার দেখে নিবেন তাঁকে। তার উপর আরো মজার ব্যাপার হলো ছোট বেলায় যখন টু/থ্রি তে পড়া অবস্থায় যেমন ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতাম ঠিক সেই রকম একটা ব্যাগ নিয়ে চলে এসেছেন, পায়ে আর্মিদের ট্রেকিং বুট। সব কিছু মিলিয়ে পিকুলিয়ার এক চরিত্র।

যথা সময়ে বাস আসলো। সবাই যার যার মতো সিটে বসে গেল, আমার সঙ্গী হলেন মুগ্ধ ভাই তিনি জানালার পাসে তার পাসে আমি। আমরা উঠার পর বাস ছেড়েও দিলো। মাঝখানে একবার চৌদ্দগ্রামের দিকে নেমে খাওয়া ছাড়া সারারাত ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলাম। চকরিয়ায় আমাদের যখন বাস নামিয়ে দিলো তখন ভোর। যাঁরা মনে করেন ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম তাঁরা কয়েকজন নামাজ পরে ফিরছেন আর কিছু দোকানদার দোকান খুলছে। আমরা একটি হোটেলের সামনে জিনিসপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছি কখন হোটেল খুলবে, নাস্তা করেই রওনা দেব।

নাস্তা শেষ করেই ঠিক হলো একটি চান্দের গাড়িতে করে আমরা রওনা দেব। এর মধ্যে রাব্বি ভাই সবার সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিলেন গতকাল রাতে ঠিকমত কারও সঙ্গেই পরিচয় হয়নি। আব্দুল্লাহ ভাইকে দেখিয়ে বললেন, এই হলো আব্দুল্লাহ ভাই ২/৩ দিন আগে এইচ এম আই থেকে বেসিক কোর্স করে এসেছেন। এই হল শরীফ বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সাইকেলে ভ্রমণ করেছে। এই হল মুগ্ধ, ডাক্তার। সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করলেন আমাদের এই ট্যুরের ম্যানেজারও সঙ্গে তাঁর সহযোগী নির্বাচন করা হল আমাকে।

সহযোগী হিসাবে আমাকে মুগ্ধ ভাইয়ের সঙ্গে রওনা দিতে হলো চান্দের গাড়ি ঠিক করার জন্য। যাওয়ার আগে রাহাত ভাই আমার দায়িত্বে বিশাল এক দরি আর লাইফ জ্যাকেট ধরিয়ে দিলেন। কাহিনী কি? আমরা তো আলীর গুহায় যাব সেখানে যেতে হলে একটা নদী আছে খড়স্রোতা নদী, অনেক স্রোত সেখানে গিয়ে, যে ভাল সাতার জানে সে দড়ি নিয়ে অন্য পারে চলে যাবে তারপর যারা সাতার জানে না (যেমন আমি, রাহাত ভাই) তারা লাইফ জ্যাকেট পরে দড়ি ধরে ধরে পার হবো।

যাই হোক আমি আর মুগ্ধ ভাই চাঁন্দের গাড়ির জন্য রওনা দিলাম। কথায় কথায় জানতে পারলাম মুগ্ধ ভাই আসলেই ডাক্তারি বিষয় নিয়ে পড়ছেন। রাব্বি ভাইয়ের কথায় প্রথমে বিশ্বাস করিনি ভেবেছিলাম দুষ্টামি করছেন। কিন্তু মুগ্ধ ভাইয়ের বেস-ভুসা কেউ বিশ্বাসই করবে না সে ডাক্তার। চারুকলার পোলাপাইন হলে বিশ্বাস করলেও করতে পারে, কিন্তু ডাক্তার! সেটা হজম করা আসলেই কঠিন। আমার নিজেরও কাছেও সামান্য কঠিনই মনে হয়েছে।

বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে গিয়ে গাড়ি ঠিক করে ফেললাম দুইজনে মিলে। গাড়ি নিয়ে আমাদের হোটেলের সামনে ফিরে আসলাম, মালপত্র তুলে রওনা দিলাম সবাই আলীর গুহার উদ্দেশ্যে। পাহাড়ি আঁকা-বাকা, উঁচু-নিচু পথের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে আমরা পৌঁছে গেলাম আলী কদমে।

আলী কদমে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে দুপুরে হালকা খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আমাদের গোপন প্ল্যান হলো, আজকে রাতে আমরা গুহায় থাকবো। আর্মিরা যদি জানে তাহলে থাকতে দিবে না। তাই আমাদের যেতে হবে চুপিসারে। দুপুরের পর পর রওনা দেব যাতে গুহায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকাল হয়ে যায়। বিকালের পর নিশ্চয় সাধারণত ঐ দিকে কেউ যায় না। আর কেউ না গেলে আমরা সেখানে চুপ করে বসে থাকবো। রাতের দিকে নুডুলস রান্না করে খেয়ে দেয়ে স্লিপিং ব্যাগে ঘুমিয়ে পড়বো।

ছবি: মেহেরুন ফারুক

দুপুরের পর পর রওনা দিলাম আলীর গুহার সন্ধানে। নদীর কাছে এসে তো আমাদের সবার মুখ থ হয়ে গেল। নদীতে মাত্র হাটু পানি! এটা কিনা মুগ্ধ ভাইয়ের খড়স্রতা নদী, যার জন্য কাধে করে বিশাল দড়ি আনা হয়েছে, সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট! যে যেভাবে পারে মুগ্ধ ভাইয়ের গায়ে অদৃশ্য পঁচা ডিম মারা শুরু করলো। নদী পার হওয়ার সময় যে যেভাবে পারে মুগ্ধ ভাইকে পঁচাইলো। তিনিও নিজেও ভালই লজ্জা পেলেন। কারণ এই ট্রিপের পুরো প্ল্যান সম্ভবত মুগ্ধ ভাইয়েরই করা ছিল।

যাই হোক এই ভয়াবহ খড়স্রতা নদীটা আমরা সাতার না জানা কয়েকজন দুঃসাহসী মানুষ কোন রকম বিপদ ছাড়াই পার হয়ে গেলাম। নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রিজ হচ্ছে, এই রাস্তা সরাসরি থানচির দিকে চলে যাবে। এখনও কাজ চলছে শেষ হয়নি। ব্রিজের পর পরই আর্মি ক্যাম্প যদিও আমরা যে পারে আছি তার উল্টা পারে। আর্মি ক্যাম্প থেকে একজন চিৎকার জিজ্ঞেস করলেন কোথায় যাই? রাব্বি ভাই উত্তর দিলেন, আমরা ঘুরতে এসেছি আলীর গুহায় যায়। জিজ্ঞেস করলেন আমরা কি করি? রাব্বি ভাই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দিলেন। আমাদের বড় বড় ক্যামেরা আছে, হয়তো তা দেখে আর ঘাটালেন না আর্মির লোকজন। আমরা নিরাপদেই গুহার পথে রওনা দিলাম।

গুহার পথে এগুচ্ছি দুই দিকে পাথরের দেয়াল প্রায় ৪০/৫০ ফিট উঁচু বা তার চাইতেও উঁচু হতে পারে। রাস্তা কখনো মোটা কখনো চিকন, কিছু জায়গায় উপরের দিকে উঠতে হচ্ছে পাথরের উপর পা দিয়ে দিয়ে। খুব সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে কারণ পাথর শেওলা পরে পিচ্ছিল হয়ে আছে। এর মধ্যে সবাই দুই/এক বার হালকা পা পিছলে পরতে গিয়েও পরেনি। কিন্তু পিংকি আপা ঠিকই একবার আছার খেলেন। আবার নিজে নিজে উঠে পরে বললেন আমি ঠিক আছি। তবে আমরা নিশ্চিত তিনি সামান্য হলেও ব্যাথা পেয়েছেন।

এক সময় আমরা গুহার কাছে পৌঁছে গেলাম। গুহাতে উঠার জন্য সিড়ি দেয়া আছে সিড়ি বেয়ে সবাই উপরে উঠলাম। উপরে উঠে দেখি গুহার ভেতর অদ্ভূত একটা গন্ধ, সবাই বললো বাদুরের টয়লেটের গন্ধ। গুহা মানেই বাদুরের বসবাস। মুগ্ধ ভাই ঘোষণা করলেন ভাল মতো দেখে নেন, আমরা এই গুহায় থাকবো না। সামনে আরেকটা গুহা আছে সেটাতে থাকবো। ওইটা বেশি নিরাপদ আর ওইটাতে লোকজন খুব কম যায়। আর এটাতে দেখা গেল কেউ একজন টয়লেট করে গেছে সিড়ির মধ্যে।

দশ/পনের মিনিট ট্রেকিং করার পরেই আমরা পৌঁছে গেলাম দ্বিতীয় গুহার কাছে। এই গুহায় উঠতে হবে কোন সিড়ি ছাড়া, একদম রক ক্লাইম্বিং করে উঠতে হবে প্রায় ৩০ ফিট এর মতো। প্রথমে আমি উঠে ২০ ফিট এর মতো উপরে উঠে ফিরে আসলাম পাথর যে পিচ্ছিল হয়ে আছে, উঠতে সাহস পেলাম না। সদ্য বেসিক কোর্স করে আসা আব্দুল্লাহ ভাই উঠে গেলেন একদম গুহার ভেতর তারপর উপর থেকে নিচে দড়ি ফেলে দিলেন, তারপর সবাই কোমড়ে দড়ি বেধে একজন একজন করে উপরে উঠে গেলাম।

গুহা মানেই অন্ধকার, অবিকল তিন গোয়েন্দা গল্পের বইয়ের মতই লাগছিল। নিজেকে কিশোর পাশার চাইতে রবিন মিলফোর্ড ভাবতেই বেশি ভাল লাগছিলো। গুহার মুখে আলো আছে কিন্তু ভিতরের দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অবশ্য কিছুক্ষণ পর গুহার মুখও অন্ধকার হয়ে যাবে, কারণ সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। সবাই একসঙ্গে হওয়ার পর ভেতরের দিকে ঢুকলাম আমি মুগ্ধ ভাই আর রাব্বি ভাই। রাব্বি ভাই হাতে একটি ছুরি নিয়ে নিলেন কেউ আক্রমণ করলে প্রতিহত করার জন্য। পেছন পেছন আমি টর্চ লাইট নিয়ে রওনা দিলাম। গুহার এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ঘুরে আবার ফিরে আসলাম।

এখন আর কোন কাজ নেই গল্প করা ছাড়া। কিছুক্ষণ পর দূর থেকে শব্দ আসা শুরু করলো। বোঝা গেল এখানে মানুষ আসছে, আমাদের হিসাব মতে এই সময় মানুষ আসার কথা না। তারপরও সবাই চুপচাপ অপেক্ষা করতে থাকলাম কে আসে দেখার জন্য। কিছুক্ষণ পর আসলেন, পেছন থেকে মুগ্ধ ভাইয়ের চিৎকার সাগর ভাই! বোঝা গেল মুগ্ধ ভাইয়ের পরিচিত। উপরে আসার পর সবার সঙ্গে পরিচয় হলো, অবস্য ফেইসবুকে আগেই পরিচয় ছিল তবে শুধু সাগর নামে রেঞ্জার সাগর নামে।

সাগর ভাইয়ের সঙ্গে অনেকক্ষন গল্প করার পর সাগর ভাই রওনা দিলেন ফেরার জন্য। আর আমাদের সাবধানে থাকতে বলে গেলেন। সাগর ভাই যাওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন আসলে গুহা দেখার জন্য। তারা চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যা নেমে এলো, মোটামুটি অন্ধকার হয়ে গেল চারিদিক। ব্যাগ থেকে স্লিপিং ব্যাগ বের করে সবাই বসে আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম। গুহার ভেতরে কয়েকটা বড় সাইজের ইদুরও দেখা গেল। রাতে সবাই নুডুলস রান্না করে খেয়ে নিলাম। দুইটা পাথরের চিপায় সুন্দর একটা জায়গা দেখে আমি ঘুমানোর জন্য দখল করে নিলাম। সবাই পলিথিন বিছিয়ে তার উপর স্লিপিং বিছিয়ে শুয়ে পড়লো। ঠিক হলো একজন একজন করে কিছুক্ষণ পর পর পাহারা দিতে হবে। আমি সবার ছোট তাই আমাকে পাহারা দিতে হবে না।

কিন্তু শোয়ার পরই শুরু হলো নতুন খেলা, কেউ একটু নড়াচরা করলেই পিছলিয়ে নিচের দিকে চলে যায়। আবার উপরের দিকে উঠতে হয়, পলিথিনের সঙ্গে স্লিটিং ব্যাগের পিচ্ছিল কাপড়ের জন্য এই কাহিনী হচ্ছে। সারারাত কেউ শান্তিতে ঘুমোতে পারলোনা শুধু আমিই আরাম করে ঘুম দিলাম। ভোরে উঠে আরাম করে একটা হাই তুলে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।

গুহা থেকে বের হওয়ার আগে ঠিক হলো আসেপাশে একটু ট্রেকিং করে নিলে মন্দ হয় না। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পর রওনা দিলাম ফেরার জন্য। লোকালয়ে ঢুকেই রওনা দিলাম উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো দিকে, সেখানে সাগর ভাই উঠেছেন তিনিও আমাদের সঙ্গেই ফিরবেন। ডাকবাংলোতে ঢুকে যে যার মতো পরিষ্কার হয়ে রওনা দিলাম চকরিয়ার উদ্দেশ্যে একটি চান্দের গাড়ি ভাড়া করে।
চকরিয়ায় পৌঁছানোর আগেই আর্মি ক্যাম্পে আমাদের আটকালো, তার কারণ সবাই ছাদে বসে আছে, গাড়ির ভেতরে তেমন কেউ নেই। তার উপর মহিলারা ছাদে বসে আছে।

আর্মির ঐ লোক তো মহা খ্যাপা ছাদের মধ্যে মেয়ে মানুষ! এটা কেমন কথা? আপনারা জানেন এখানে যদি আমাদের অফিসার থাকতো কি বলতো? মুগ্ধ ভাইয়ের পেছন থেকে উত্তর, ‘সালাম দিত’। সেই লোক তো আরো উত্তেজিত হয়ে গেল এই কথা শুনে। মেয়েদের এভাবে উপরে বসা ঠিক না, মেয়েদের সবকিছু করাও ঠিক না। আমাদের একজন তো বলে বসলো ভাই আপনি যে কথা বলছেন, এই কথা শুনলে তো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাগ করতে পারেন, উনি তো মহিলা। আর্মির ঐ লোক তো আরো ফাপরে পরে গেলে এরা বলে কি! বুঝতে পারলো এদের সঙ্গে ঝামেলা করে লাভ নেই। ড্রাইভারকে বকাঝকা দিয়ে আমাদের ছেড়ে দিলো।

আমরা চকরিয়া এসে নামলাম ঘড়িতে মাত্র ১১ টার মতো বাজে, রাতের আগে কোন বাস নেই। ঠিক করা হলো আমরা সবাই কক্সবাজার চলে যাব। আবার একটা চান্দের গাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করা শুরু হলো। এর মধ্যে ফয়সাল ভাই কিভাবে যেন একটা ছোটখাট বাস ঠিক করে ফেললো অল্প টাকায়। আমরা তো অবাক! এই অল্প কয়েকজনের জন্য বাস? শান্তি আর কাহাকে বলে, সবাই বাসে উঠে পড়লাম একেকজন ২ সিটে আরাম করে বসলো। তাও অর্ধেক বাস খালি।

কক্সবাজারে পৌঁছালাম দুপুরের দিকে, খাওয়াদাওয়ার পর হঠাৎ করে ঠিক হলো আমরা আর আজকে ফিরবো না। সবাই ইনানীতে রাতে থাকবো। প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত পাল্টাতে শুরু করলো। কথা ছিল চকরিয়া থেকে ঢাকা ফিরবো, তারপর কথা হলো কক্সবাজার থেকে ফিরবো এখান আবার তা পাল্টে ঠিক হলো আগামীকাল ফিরবো। এই না হলো এ্যাডভেঞ্চার!

বিকালের দিকে পৌঁছালাম ইনানী। সারাবিকাল সাগরে দাপাদাপি করলাম ছবি তুললাম। এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে এলো, কিছুক্ষণ পর পশ্চিম দিকে সূর্য অস্ত যাবে। আমাদের নমাজী মুগ্ধ ভাই অজু করে নামাজের জন্য তৈরি হয়ে গেলেন বীচের মধ্যেই, সূর্য আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে ডুবতে শুরু করলো যেন বিশাল সমুদ্রের ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই দিকে সেজদা দিয়ে মুগ্ধ ভাই নামাজ পড়ছেন। আল্লাহ তুমি তাঁকে বেহেশ্ত নসীব করো। আমিন।

আরো ছবি:

https://www.facebook.com/media/set/?set=a.2420131752575.2133066.1529852176&type=3
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.406798031304.170006.513036304&type=3
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.10150180982490094.423981.779530093&type=3

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.