সবাই শুভেচ্ছা নিবেন।
‘৬৪ জেলায় কি দেখেছি: সাইকেল ভ্রমণের রোজনামচা’ বইটি প্রকাশের জন্য Agamee Prakashani প্রকাশনীর কাছে কৃতজ্ঞ, পাশাপাশি সম্পাদনা পরামর্শক মধুপোক . modhupok এর প্রতিও কৃতজ্ঞতা রইল।
বইটা প্রকাশের আগে সম্পাদক মহোদয় রাসেল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল কত কপি ছাপনো যায় এটা নিয়ে। আমার প্রথম ভাবনা ছিল ৫০০ কপি। তারপরে আবার রাসেল ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দেখলাম ৫০০ কপি একটু রিস্ক হয়ে যায়। নতুন লেখক হিশাবে এইটা এক ধরনের ঝুকিও বলা যায় প্রকাশকের জন্য। তার চাইতে বরং ৩০০ কপি ছাপালে কিছুটা সেইফ থাকা যায়। একটা হিশাব করে দেখেছিলাম গড়ে আমার ব্লগে যে পরিমাণ মানুষ পড়ে সেই হিশাবে হয়তো মেলায় ১০০/১৫০ কপি বিক্রি হয়ে যাবে। আর সারা বছরে যদি আরো ১০০/১৫০ কপি যায় তাহলেই হয়। আর বেশি বিক্রি হলে তো আবার ছাপানোর অপশন আছেই।
কিন্তু বইটি প্রকাশের পরে দেখা গেছে ২০ তারিখের মধ্যেই প্রথমে যে কয় কপি ছাপা হয়েছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। প্রকাশক দ্বিতীয়বার আবার ছাপতে দেয়, যা এখন চলছে সেটাও সম্ভবত অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। এতে আমরা যাঁরা বইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম মোটামুটি সবাই বেশ অবাক হয়েছি। অন্তত আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই অবাক হয়েছি। আমি কখনই এতটা আশা করি নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজের ওয়ালে মাত্র দুইবার প্রচার করেছিলাম।
প্রথমবার করেছিলাম আসিতেছে, দ্বিতীয়বার এসেছে। নিজের বইয়ের প্রচারণা, সত্যি কথা বলতে আমি প্রচণ্ড রকম বিব্রতবোধ করি এই বিষয়গুলা। প্রচারণা যাই হয়েছে সবই আমার বইয়ের পাঠক, ফেসবুক বন্ধু, বড় ভাই-বোনদের কল্যানে। সম্ভবত এটা ভালবাসার চূড়ান্ত পর্যায়।
যাঁরা এভাবে আমার বইকে অথবা আমাকে ভালবেসে প্রচার করেছেন তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। পরিচিত অপরিচিত যাঁরাই বইটি কিনেছেন। তাঁরা আমার আমার শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি বইটি পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন। ভাল লাগলেও জানাবেন, খারাপ লাগলে আরো বেশি করে জানাবেন।
সবার এই সাপোর্টের জন্য সম্ভবত দ্বিতীয় বই বের করতে চাইলে প্রকাশক হয়তো দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে না।
আজ মেলা থেকে ফেরার সময় লেনিন ভাই বলতেছিলেন, ‘দুইটা পোস্ট তো দিয়েছেন, আসিতেছে, এসেছে। এবার একটা পোস্ট দেন চলে গেছে।’ বলা যায় বই সম্বন্ধে নিজের ওয়ালে এইটা তৃতীয় পোস্ট। যেহেতু মেলা শেষ, তাই বই মেলা থেকে চলে গেছে।
১৯ ফাল্গুন ১৪২৫