পেশাগত কারণে এই পর্যন্ত যত বইয়ের কাজ করা হয়েছে তার ৯০ পার্সেন্ট বই ছিল গবেষণাধর্মী। তার মধ্যে অনেক বই-ই আছে কিছুই বুঝি নাই। কাজ করার দরকার তাই কাজ করে গেছি। আবার অনেক কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। মাথার মধ্যে নতুন নতুন প্রশ্নও আসছে।
সালেহীন ভাইয়ের ‘টেকিংয়ে হাতেখড়ি’ বইটা অন্য সব কাজ থেকে একটু আলাদা। কিছুটা গবেষণাধর্মী বই হলেও খুবই সহজ। বিশেষ করে ট্রেকিংয়ে নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজের পড়াশুনা এক করে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। একজন ট্রেকারের নীতি নৈতিকতা থেকে শুরু করে একজন ট্রেকারের কি কি লাগবে কি কি করতে হবে মোটামুটি সব বিষয়ের উপরই একটা নির্দেশনা দেয়া আছে। এক কথায় ট্রেকিংয়ের গাইড বই। আবার বাংলা ভাষায় এর কাছাকাছি আমাদের দেশে এমন কোন বই নাই, তাই আপাতত এটাকে ট্রেকিংয়ের বাইবেল বললেও একদম ভুল বলা হবে না।
এখন আলোচনা করা যেতে পারে বইটা কাদের জন্য বেশি উপযোগী? উত্তর এক কথায় বলা যায় সবার জন্য। যাঁরা নতুন ট্রেকিংয়ে যেতে চান কিন্তু সামনে কোন গাইডলাইন পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য। আবার অনেকদিন ধরে ট্রেক করতেছেন তাঁদের জন্যও।
লর্ডসকে যদি ক্রিকেটের মক্কা বলা হয়। তাহলে বাংলাদেশের ট্রেকিংয়ের মক্কা বলা যায় বান্দরবানকে। সালেহীন ভাইও ট্রেকিংয়ে তাঁর বান্দরবানে নিজের ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতার উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন। কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য সাদা পাহাড়ের কিছু অংশও টেনে এনেছেন। তবে বইটাকে আমাদের বান্দারবানের সবুজ পাহাড়ের ট্রেকিংয়ের কথা চিন্তা করেই করা।
সালেহীন ভাইয়ের সাবলীল লেখার হাত এবং অসাধারণ বিশ্লেষণ ক্ষমতার কারণে আমি নিশ্চিত এই বইটি অ্যাডভেঞ্চার তথা ট্রেকিংয়ের জন্য অনেকের দিক নির্দেশক হয়ে থাকবে।
কেউ যদি ট্রেকিং পছন্দ করেন অথবা ট্রেকিং করতে চাচ্ছেন এমন যে কেউ বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। পাশাপাশি কেউ যদি প্রাথমিক ট্রেকিং সম্বন্ধে জানার জন্য কোন বইপত্র খোঁজ করে তাহলে নিঃসংকোচে এই বইটি সুপারিশ করতে পারেন।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারিতে:
https://www.rokomari.com/book/209695/trekingye-hatekhari
