নর্থ সাউথের ক্যান্টিন ফাঁকা পাওয়া যায় সাধারণত সেমিস্টার ব্রেকের সময়। এ ছাড়া এত বেশি লোকজন থাকে যে বলার মতো না। ছবিতে হয়তো খুব বেশি বোঝা যাবে না তবে আমি একদিন হিসাব করে দেখেছি, এখানে একসাথে প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ জন বসে খেতে পারবে।
.
খাবারের দোকান আছে প্রায় ১২টা। বেশির ভাগই ফাস্টফুড টাইপের। সাদা ভাত পাওয়া যায় মাত্র একটা দোকানে। সেখানে মোটামুটি কিছু খাঁটি বাংলা খাবার পাওয়া যায়—ভর্তা, ডাল, সবজি, মাছ এই টাইপের। এই দোকানটাতে মোটামুটি সব সময় ভিড় থাকে। ভোক্তা ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারী
আর শিক্ষকরা। অন্যান্য ফাস্টফুডগুলাতে কর্মচারী-শিক্ষক খুব কম যায়।
.
ইউল্যাব ছোট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ক্যান্টিন ছোট ছিল। কিন্তু একটা বিষয় ভালো ছিল—সেটা হলো সেখানে ওয়ান-টাইম জিনিসপত্রের ব্যবহার খুব কম ছিল। কিন্তু নর্থ সাউথের ক্যান্টিন পুরোটাই ওয়ান-টাইম প্লাস্টিকের উপরে দাঁড়িয়ে আছে।
.
এখানের ছেলেমেয়েরা, অন্তত ৯০% ছেলেমেয়ে খাওয়ার পরে ওয়ান-টাইম প্লেটগুলো টেবিলে রেখে চলে যায়। ১০% ছেলেমেয়ে আছে, যাঁরা নিজেদের উচ্ছিষ্টগুলো নিজেই বিনের মধ্যে ফেলে। যদিও সেগুলো ফেলার জন্য লোক আছে, তারপরেও কিছু ছেলেমেয়ে এটা করে নিজে থেকেই। আমি যেহেতু এটা সবসময় করি, তাই আলাদা করে চোখে পড়ে।
.
আরো অনেক মজার মজার বিষয় চোখে পড়ে। আরেকদিন শেয়ার করবো।
২৩ ভাদ্র ১৪৩২