পিক৬৯ হোম ডেলিভারির মাধ্যমে প্রোডাক্ট দিয়েছি দেড়শোর কম হবে না। হোম ডেলিভারির মাধ্যমে প্রচুর লোকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। অনেক মজার মজার ঘটনাও আছে। হোম ডেলিভারি ছাড়াও পিক৬৯ এর মাধ্যমে অনেক লোকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এর মধ্যে সবচাইতে বড় পাওয়া হইল রাকিবুল আহসান ওরফে লিমন ভাই। লিমন ভাইয়ের কাজ অসাধারণ, আর মানুষ হিশাবে আরো বেশি অসাধারণ। আমার পছন্দের প্রথম দশজন মানুষের মধ্যে তিনি একজন হবেন। আপনারা যাঁরা পিক৬৯ এর আজিজ মার্কেট, বসুন্ধরা অথবা বর্তমান যে দোকানটা দেখতেছেন তার ডিজাইনের কাজগুলা লিমন ভাইয়েরই করা। আগের লোগো এবং বর্তমান লোগোও তাঁর করা। বলা যায় পিক৬৯ এর ডিজাইন বিষয়ক যত কাজ আছে বেশিরভাগই তাঁর করা।
ঠিক করেছি এখানে মাঝে মাঝে পিক৬৯ নিয়ে ছোট ছোট স্মৃতিচারণ করবো। তাই আমার লেখাগুলা ঠিক প্রোডক্ট বেইজ হবে না। কারণ আমি প্রোডাক্ট নিয়ে খুব একটা রিভিয়্যু লিখতে পারি না। আর তা ছাড়াও পিক৬৯ নিয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে একটু পক্ষপাত আছে যা আমি চাইলেও সেখান থেকে সরাতে পারবো না। যেমন ছোট্ট একটা ব্যাখ্যা করি তাহলে বুঝা যাবে। আমার প্রোফেশন হইল প্রকাশনা বেইজ। আগামী প্রকাশনীর ম্যানেজার আছেন মেনন ভাই, পিক৬৯ যখন বসুন্ধরায় নতুন দোকান দিলো তখন মেনন ভাই বলতেছিলেন আপনাদের দোকান তো দেখলাম বসুন্ধরায় চলে গেছে। মেনন ভাইয়ের মতো এই রকম অনেক মানুষ আছে যাঁরা মনে করে আমি একদম পিক৬৯ এর ভিতরের মানুষ, পিক৬৯ থেকে আলাদা কিছু না।
যাই হোক, পিক৬৯ নিয়ে এই ধরনের ছোট ছোট স্মৃতিচারণ হয়তো টুকটাক লিখবো আজকে এটা দিয়েই শুরু করলাম। সামনে কি লিখবো তার দুয়েকটা আভাস দিচ্ছি:
১। প্রথম ডেলিভারি দিয়েছিলাম এক হুজুর টাইপের এক লোকের কাছে। তিনি নর্থ সাউথে পড়তেন প্রতি সেমিস্টার ব্রেকে চিল্লায় যেতেন, চিল্লার কারণে তাঁবু নিয়েছিলেন।
২। উত্তরায় একজনের কাছে ডেলিভারি দিয়েছিলাম ১০০ টাকার ক্যারাবিনার জন্য ২৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিয়েছিলেন।
৩। টোলারবাগে একটা ডেলিভারি দিয়েছিলাম বিয়ার গ্রিলের একটা ছুরি। ছুরিটা তিনি নিয়েছিলেন কোরবানী ঈদের ছাগলের চামড়া ছিলার জন্য। সে আবার টুটুল ভাইয়ের স্কুল ফ্রেন্ড। টুটুল ভাই হইল আমাদের মহান ফজলে রাব্বি, রাব্বি ভাইয়ের স্কুলের নাম এটা। ![]()
আজ এই পর্যন্ত থাক সামনে নিশ্চয়ই আভাসকৃত লেখার বিস্তারিত লিখবো। এ ছাড়াও আরো মজার মজার গল্প তো থাকবেই।
২৩ আশ্বিন ১৪২৫