প্রথম পরিচয়

তাশদীদ রেজওয়ান মুগ্ধ (১৯৮৩-২০১২)  ছবি: মেহেরুন ফারুক
তাশদীদ রেজওয়ান মুগ্ধ (১৯৮৩-২০১২)
ছবি: মেহেরুন ফারুক

কমলাপুর পৌঁছানোর পর একজন একজন করে সবাই আসতে শুরু করলেন। রাব্বি ভাই, রাহাত ভাই, মৃদুল ভাই, লিসা আপা, পিঙ্কি আপা, ফয়সাল ভাই, আব্দুল্লাহ ভাই, মুগ্ধ ভাই। এর আগে সবার সঙ্গেই পরিচয় ছিল শুধু দুইজন ছাড়া একজন মৃদুল ভাইয়ের বোন লিসা আপা, আর মুগ্ধ ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম দেখা। মুগ্ধ ভাইকে দেখে প্রথমেই মুগ্ধ হলাম তাঁর চুলের ধরন আর মুখের দাড়ির শৈলী দেখে। এক অদ্ভূত উপায়ে শৈল্পিকভাবে দাড়ি কেটেছেন। এই দাড়ি দেখে যে কেউ আবার দাঁড়িয়ে একবার দেখে নিবেন তাঁকে। তার উপর আরো মজার ব্যাপার হলো ছোট বেলায় যখন টু/থ্রি তে পড়া অবস্থায় যেমন ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতাম ঠিক সেই রকম একটা ব্যাগ নিয়ে চলে এসেছেন, পায়ে আর্মিদের ট্রেকিং বুট। সব কিছু মিলিয়ে পিকুলিয়ার এক চরিত্র।

পরবর্তীতে অনেকদিন পর পর দেখা হত। দেখা হলেই বলতেন, “ঐ মিয়া তোমার কোন খবর নাই কেন? কই ডুব দিছিলা?”

আর কোন দিন কখনো দেখা হবে না,  বলবেন না? ‌”ঐ মিয়া তোমার কোন খবর নাই কেন? কই ডুব দিছিলা?”

হয়তো দেখা হবে কারো কোন লেখায়
হয়তো দেখা হবে ফেইসবুকের কোন স্ট্যাটাসে
অথবা কারো কোন পুরনো ফটো অ্যালবামে
আর দেখা হবে স্বপ্নে
স্বপ্ন ভাঙ্গার পর মনে হবে, স্বপ্নটা ভাঙ্গলো কেন?

লেখাটি ফেসবুক নোটে ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর লিখেছিলাম। 

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.