অবসানের পরে থাকে না কোনো ঘটমান সময়—
শুধু নিজের সঙ্গে নিজের নিঃশব্দ মুখোমুখি,
স্থিরতা যেন কুয়াশার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
দগ্ধ মুহূর্তের ছাইয়ের নিচে লুকিয়ে থাকে
অপুরণীয় ভবিতব্যের নরম প্রতিধ্বনি।
হঠাৎই নিজের ছায়া চমকে দেয়—
অপরিচিত মনে হয় নিজেরই মুখ,
ভেঙে পড়ে করুণ নৈঃশব্দ্যে, অদৃশ্য কান্নায়।
অতীত এসে ছিনিয়ে নেয় শান্তি,
রেখে যায় শূন্যতা— বিভ্রান্ত দুপুরে,
বা কোনো নিস্তব্ধ রাতের গভীরে।
সে তখন বুকের মধ্যে হাত রাখে—
খুঁজে দেখে,
হৃদয় কি এখনো জ্বলে নিঃশব্দ প্রলয়ে,
নাকি কেবল এক আহত পাখি,
ডানা ছেঁড়া অথচ অদ্ভুতভাবে জীবিত,
নিজের নিঃসঙ্গ কোলাহলে কাঁপতে থাকা।
১৯ কার্তিক ১৪৩২