এই ধুলো ধুলো শহর
তোমার।
আমার।
আসতে পার।
চলে যেতে পার।
এই পৃথিবীর বিষণ্ন ধুলোয় মিশে যেতে পার।
তবু, এই বিষাদগ্রস্ত মেঘময় প্রাচীন শহর
বারবার তোমাকে ফিরে পেতে চাইবে
এই করুণ নেক্রপলিসে।
–শীবু কুমার শিল
গতবছর ‘অর্থ’ নামে একটা পত্রিকার কাজ করেছিলাম। সেটা ছিল চতুর্থ সংখ্যা। এর আগে তিনটা সংখ্যা বের হয়েছিল অনেক আগে। প্রতি সংখ্যাতেই কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু চতুর্থ সংখ্যাটা বের হয়েছে অনেক দেরিতে প্রায় সাত বছর পরে। গত বছরের ডিসেম্বরে যখন বের হয় তারও প্রায় দেড় বছর আগে থেকেই কাজ চলতেছিল। খুব ধীরে ধীরে কাজ চলেছে। ধীরে ধীরে কাজ করার কারণ আমরা যাঁরা কাজ করি হয়তো অতিরিক্ত স্থির। আরেকটা সমস্যা হইল পছন্দ মত লেখা পাওয়া। এই পছন্দ মত লেখা না পাওয়াটা আস্তে আস্তে প্রকট আকার ধারণ করতেছে।
পত্রিকাটি যখন প্রেসে যাবে এমন সময় খবর আসলো গ্রন্থটির একজন লেখক মাহফুজুর রহমান পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। খবর শোনার পর বইটির প্রকাশ আরো কিছুটা পেছানো হল। স্যার একটা শোক নিবন্ধ লিখলেন এবং আমরা তাঁকে উৎসর্গ করে কিছুটা সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করলাম।
‘অর্থ’ চতুর্থ সংখ্যাটির যখন কাজ চলছিল এর পাশাপাশি অদ্রি থেকে ‘এভারেস্ট’ নামে একটা বইয়ের কাজ চলতেছিল। সেটিও মোটামুটি অর্থের কাছাকাছি সময়েই কাজ শুরু করেছিল। এভারেস্ট বইয়েও হুবহু একই ঘটনা ঘটলো। তবে দ্বীগুণ আকারে! বইটি যখন প্রেসে যাবে ঠিক তখনই খবর আসলো বইটিতে অবদান রাখা ওপার বাংলার পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার অভিযানকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার ডেথজোনে মৃত্যু বরণ করেন। আরেক পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষ মাকালু পর্বত অভিযানে নিখোঁজ।
সম্পাদকীয় লেখার বাইরে আরেকটা শোকনামা পাতা যুক্ত করে আমাদের বিষাদগ্রস্ত মনকে কিছুটা সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করা হল।