মানুষ বড় আজব প্রাণী। তারা জীবনের যতই সমস্যায় থাকুক না কেন ঠিক তার সমাধান খুঁজে নেয়। আর টিওবির ভ্রমণ পিপাসু মানুষগুলো তো আরও আজব। তাদেরকে মাঝে মাঝে আমার গিরগিটি মনে হয়। এটা শুনার পর লাখো মানুষ একসাথে আমাকে মারতে আসার আগে একটু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে ভাল হয়। তো যা বলছি আর কি। গিরগিটি যেমন তার রং বদলে নিজেকে যেকোন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পায় তেমনি টিওবির এই ব্যস্ত মানুষগুলোও জীবনের সকল ব্যস্ততার মাঝেও আনন্দ খুঁজে নিতে সমস্যা হয়না। তাদের সরল হাসি, সরল উপভোগ, মজা করার নতুন নতুন কৌশল মাঝে মাঝে সকল কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। জীবনে নিয়ে আসে এক বৈপরিত্য।
.
এবারও যথারীতি টিওবির অ্যাডমিন মো: শরীফুল ইসলাম আমাকে ১৫, ১৬ তরিখের দিকে বলল সুরাইয়া সব গুছিয়ে রাখিস কিন্তু, তোর জন্য টিকেট কাটা হয়ে গেছে। আমি বললাম তোকে তো বলছি আমি যাবনা কারণ আমার কাছে কোন টাকা নাই। সে বলে টাকা নিয়ে চিন্তা করিস না একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমি বলি কি ভাবে? সে বলে টাকা আছে। তখন তো বুঝিনি টাকা কোথা থেকে আসবে। আজ সকালে বই কিনার কথা বলছি পরে বলে টাকা নাই। বেতন পেলে তুই বই কিনবি কেমন? আমি তখনই একটা গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে বুঝলাম আমার বইয়ের টাকা দিয়েই আমি এত রংঢং করে এলাম লাখের বাত্তি থেকে, কি আর করার। প্রতিবার একবার করে মনে মনে শপত করি এই অ্যাডমিনের সাথে বেশি দিন সম্পর্ক থাকলে আমারও মাথার দুই একটা তার ছিড়ে যাবে। আজ মনে হল একটা যথারীতি ছিড়ে গেছে তা না হলে আগে বই না কিনে কি ঘুরতে যেতাম!
.
আমরা ঠিক করলাম কয়েকজন যাব শুক্রবার সকালে আর বাকিরা যাবে দুপুরের পর থেকে। ভ্রমণ করা অনেকের কাছে বেঁচে থাকার অক্সিজেনের মত গুরুত্বপূর্ণ আবার অনেকের কাছে নিজেকে প্রকৃতির কাছে সপে দেওয়ার মত। আর অনেকের কাছে মাথার জট খোলার জন্য কিছু একান্ত সময়। যা নিজের মত করে ব্যয় করবে। এসবের কিছুর মধ্যে আমি পড়িনা। আমার জীবন অন্য রকম। সব কিছু জাপসা জাপসা। আবার সব কিছুতে সমস্যা। আবার কোন কিছুতেই সমস্যা না। তো শুক্রবার সকাল আটটার দিকে শরীফের সাথে রওয়ানা দিলাম। আমরা রাব্বি ভাইদের জন্য প্রায় আধা ঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট বসে ছিলাম শাহবাগে তারপর ফোন দিয়ে আমাদেরকে গুলিস্তান যেতে বলা হল। আমরা সেখানে গিয়ে পেলাম লিপু ভাই, সাফিন ও সালেহীন ভাইকে। একটু পরে রাব্বি ভাই, রুবেল ভাই আর রাকা আপু হাজির। তার একটু পরেই আসল শিহান ভাই। আমরা এই নয় জন একসাথে বাসে উঠে বসলাম। তখন প্রায় ৯:৩০।
.
বাসে সবাই যে যার মত করে গল্প করছে। আমার একটু ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে তাই আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কখন যে ঘুম চলে এল বুঝতে পারলাম না। ঘুম থেকে উঠে দেখি চার পাঁচটা লাল পরী শরীফের আর সালেহীন ভাইয়ের সিটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বারবার শরীফকে দেখছে। আবার একজন আরেক জনের দিকে তাকাচ্ছে। আমি এই সবই দেখতেছি আমার পাশে জানালার কাঁচের মধ্যে। তাদের বিস্ময় মনে হয় কাটেই না। অবশ্য আমিও যখন প্রথম শরীফকে দেখছি তখন এমন করেই দেখছি আর অবাক হইছি। আর প্রথম প্রথম মনে হত ইস যদি একবার একগোছা চুল কেটে দেওয়া যেত কেমন হত! একটু পরে মেয়েগুলা নেমে গেল আর শরীফ মুখ কালো করে বলে আহারে লাল পরীগুলা নাইমা গেল। এতক্ষণ তো ভালই লাগতেছিল। আমি বললাম আহারে!

আমরা সারা রাস্তার জ্যাম খেয়ে ১ টার দিকে নামলাম মাস্টার বাড়ি। ওখানে নেমে হাল্কা চা-নাস্তা করে নিলাম। তারপরে অটো নিয়ে চলে এলাম রোভার পল্লী। এখানে এসে ক্লান্তিটা একটু কমে গেল। চারপাশটা আমার অনেক ভাল লেগে গেল। চারপাশে মাঠ আর মাঠের পাশে গাছের সারি দেখে মন ভাল হয়ে গেল। আমি রাকা আপুকে বললাম চলেন আগে একটু চোখে মুখে পানি দিয়ে আসি তারপর ঐ গাছের সারির দিকে একটু হেঁটে আসা যাবে। আমরা হাতমুখ ধুয়ে গাছের সারিতে সারিতে একটু আলতো হাত বুলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আর রাব্বি ভাইরা বলে বেশি দূর না যাওয়ার জন্য। আমাদের জন্য রোভার পল্লীতে অপেক্ষা করছিল শাহাদাত ভাই। ওনার সঙ্গে কথা হল। তবে আমরা আসার আগে একদল সাইকেলিস্ট চলে এসেছে ঢাকা থেকে। তারা হ্যামক টানিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। আমরা ২:৩০ এর দিকে দুপুরের খাবার মাঠে গাছের নিচে বসে খেয়ে নিলাম। খাবারটা মজার ছিল।
.
বিকেলের দিকে আস্তে আস্তে সবার আসা শুরু হয়ে গেল। আস্তে আস্তে একটা একটা করে তাঁবু পড়া শুরু হল মাঠে, গাছের নিচে, আবার নিজের মনের মত জায়গায়। তার সাথে পিক৬৯ এর লাল গোলাপী নীল হেমোকও গাছে গাছে ঝুলানো শুরু হয়ে গেল। দেখে অনেক আনন্দ হচ্ছিল কারণ অনেক হ্যামকই আমার নিজের হাতে বানানো। চারদিক আস্তে আস্তে রঙ্গিন হতে শুরু করল। গ্রাফিক্সের ডিজাইনের মত মানুষগুলো রং বসিয়ে দিচ্ছে মাঠে মাঠে। ভোর হওয়া পাখিরা যেমন সকালে বার্তা দিয়ে চারদিক মুখরিত করে তেমনি টিওবির এই আনকোরা মানুষগুলোও ধীরে ধীরে চারদিক মুখরিত করছে।

এর ভিতর ছোট ছোট দুষ্টমি আর ফাইজলামি তো চলতেই আছে। অনেক নতুন মুখ। আর অনেক নতুন হাসি। অনেকের সাথে পরিচয় হল। সবাই নাম বলেই কথা বলে কিন্তু আমি সততার সাথে বলতে পারি নতুন একটা নামও আমার মনে নাই। কারণ নাম আমি মনে রাখতে পারিনা কিন্তু অনেক দিন পরও যাদি দেখা হয় তাহলে চিন্তে পারব আর বলতে পারব কি কথা হল তাদের সাথে। এবার সবাই টিওবির মনোনিত টি-শার্ট পরা শুরু করল। এটা যোগ করল শিল্পির ছবিতে নতুন সংযোগ। চারদিকে এখন শুধু সবুজের ছড়াছড়ি। আমিও আমার টি-শার্টটা পরে নিলাম। শরীফ এসেই বাকিদের সাথে ব্যস্ত হয়ে গেল কাজে। এবার যাওয়ার আগে আমি বারবার বলছি তুই সময় দিতে পারিস না আমি যাব না কারণ আধা লাখের সময় তুই আমাকে একটুও সময় দেসনি আমার মন খারাপ হইছে আমি যাবনা। যখন যাইতেই হচ্ছে তখন বাসা থেকে মনে মনে চিন্তা করলাম এবার মন খারাপ করব না শরীফ না সময় দিতে পারলে না পারবে আমি আমার নিজের মত করে সবার সাথে ঘুরব।
.
বিকেলে সবাই নাস্তা করলাম। তারপর আড্ডা আর আড্ডা। সন্ধ্যায় কথা ছিল মুভি দেখাবে কিন্তু কি একটা সমস্যার কারণে শব্দ সংযোগ দিতে পারছে না তাই আর মুভি দেখানো হয়নি। সেখানেও কম মজা হয়নি। কেউ কেউ তাদের ভ্রমণের অনুভূতি ভাগাভাগি করল। এর মাঝে আবার চিতই পিঠা এল। সবাই মিলে পিঠা খেলাম। রাতের খাওয়া দিল রাত নয়টার দিকে। সবাই রাতের খাবার শেষ করে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করতে চলে গেল। সেখানে লিপ্পু ভাই ও রাকা আপু গান করল। অবাক করা সুন্দর। চারপাশে মানুষ মাঝখানে আগুন আর তার সাথে সুরের এক অদ্ভুত মাখামাখি। জীবন এত সুন্দর মনে হল। আর আসলেই তখন মনে হল জীবন এত সুন্দর কেন?

পরের দিন সকাল বেলা শরীফের আবার ঢাকায় আসতে হল। ভোর পাঁচটায় আমায় ডেকে তুলল। তার ঢাকায় যাইতে হবে কারণ সে কিছু উপহার ভুলে ঢাকায় রেখে আসছে আর রাব্বি ভাইয়ের লেপটপটা লাগবে তাই। আমি মনে মনে খুশিই হয়েছি। যা এবার মঝা বুঝ। আসার আগে আমি বলছি তুই রাতে একটু সব কাছেই রাখিস যাতে সকালে সব হাতের কাছে পাস। না কথা শুনল না। তের মসজিদের ইমাম তাই কোন মসজিদেই নামাজ ঠিক ভাবে পড়াতে পারেনা । আমি মহা খুশি। মিরাজ ভাইকে বললাম দাড়ান একটু নাইচা লই। ভাল হইছে মজা হইছে। ঠেলা সামলা। সকালে দেখলাম সবাই নাস্তা করে খেলা ধুলায় মেতে উঠল। আমি মিরাজ ভাইয়ের সাথে সাফারি পার্ক দেখতে গেলাম। কারণ আমি হলাম ঘরকুনো ব্যাঙয়ের মত। একবার বাসায় আসলে আর বের হতে ইচ্ছা করে না। তাই চিন্তা করলাম পশুপাখিগুলা একটু দেইখা আসি আর এই পার্কের কথা সবাই বলে তাই গেলাম।
.
আমরা দুপুরের মধ্যে ফিরে আসলাম আর রাকা আপু আপডেট দিল। সবাই ট্রেজার হান্টের খেলাগুলো এখানে নতুন করে খেলল। কেউ ফুটবল কেউ ক্রিকেট খেলল। শাহাদাত ভাই পেপে নিয়ে আসছে, সবাই পেপে খেল। এসে দেখলাম শরীফ ঢাকা থেকে ফিরে আসছে। এখন হ্যামকে সুয়ে আছে। তার সাথে কথা বলে আমি চলে গেলাম গোসল করতে। তারপর দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম। কেউ কেউ খাওয়ার আগে পরে সারাক্ষণ লাফাচ্ছে। তাদের কোন ক্লান্তি নাই। বিকেলের দিকে সবাই আবার ট্রেজার হান্টের বাকি খেলাগুলো খেলছে। একটা খেলা অনেক মজার ছিল। দুইটা দল দুই দিকে। আর একটু দূরে দুইজন একজন রাহাত ভাই আরেক জন ফুহাদ ভাই দুইটা ব্যাট নিয়ে দাড়িয়ে আছে। দুই দল থেকে দুই জন যাবে দৌঁড় দিয়ে আর ঐ ব্যাট কপালে দিয়ে পাঁচবার ঘুরবে। এখানে রাহাত ভাইরা কিন্তু পাঁচবারের বেশি ঘুরিয়েছে বলে মনে হল কারণ প্রায় সবাই মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ উল্টা দিকে চলে যাচ্ছে। এটা অনেক মজার ছিল। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। আমি মনে মনে বললাম ভাগ্যিস খেলি নাই তাহলে আমি একবার পড়লে আর উঠতে পারতামনা কারণ মাসাল্লাহ আমি তো আর কম নাদুস নুদুস না। ক্রিকেট খেলার মধ্যে ফুহাদ ভাইয়ের বলিং আমার অনেক ভাল লেগেছে কারণ সুদর্শন একজন মানুষ খেলতেছে এটাই বড় ব্যাপার তার বলিং খারাপ হলেও বা কি আসে যায়। আর ওনি তো ইচ্ছা করেই বলিংটা এমন করে করেছে কারণ যদি রান কম হয় তাহলে উনাদের দলের সবাই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে না তাই। আমি যা দেখলাম আর কি ফুহাদ ভাইয়ের ওভারেই সবচেয়ে বেশি রান নিয়েছে বলে মনে হল। অবশ্য রান বেশি দিলেও খেলাতে ফুহাদ ভাইদের দলই জিতল। এটাতেও ব্যাপক বিনোদন ছিল।
.
এখানে এসে একজন দাড়ি ওয়ালা ভাইকে দেখলাম অনেক পদের কসমেটিক্স নিয়ে আসতে। উনি যখন উনার ব্যাগে টি-শার্ট ঢুকাচ্ছে তখন কসমেটিক্সে ব্যাগটা নিচে রাখল। আমি বলাল ভাই এই সব জিনিস কার? ভাই বলে আমার। আমি বলি আপনার? ‘হুম।’ আমি বলি রাকা আপু দাঁড়িয়ে আছেন কেন? ছবি তোলেন। ছেলেরাও এখন আর পিছিয়ে নেই সাজগোছে। মেয়েদের সাথে সমান তালে চলছে। ভাইজানও উজ্জল বদনে কসমেটিক্সের জিনিসের ব্যাগটা হাতে নিয়ে পোজ দিল। এখানে দেখলাম মোটা করে এক ভাই আসল। ওনার দুই ছেলেমেয়ে। আমার মনে হল ওনি শুধু ওনার বাচ্চাদের নিয়ে খুশি। সারাক্ষণ ওদের নিয়েই ব্যস্ত। চারদিকে যা হওয়ার হয়ে যাক ওনি শুধু পরিবার নিয়ে তাঁবুর আসে পাশে আছে। শুধু খাওয়া সময় গিয়ে খেয়ে আসছে। এটাও একটা ভাবনার বিষয় ছিল।
.
সন্ধ্যায় নাস্তা করে সবাই চলে গেল অডিটরিয়ামে। সেখানে গিয়ে ঘটল আরেক অঘটন। আদিল নামের এক ভাইয়া দরজার কাচ নাই মনে করে কাচের সাথে দাক্কা খেয়ে মাথা হাত পা কেটে একাকার করেছে। তাকে নিয়ে রাব্বি ভাই সালেহীন ভাইরা হাসপাতালে দৌঁড় লাগাল। সব আনন্দই মাটি হয়ে গেল। সবাই মন খারাপ করে মুভি দেখা শুরু করল। এইগুলোর মাঝে আবার বিরতিতে সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিল। এখানে সবাইকে র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে উপহার দেওয়া হল। আমি একটাও উপহার পেলাম না। কত কষ্ট করে গেলাম। একটাতো পাওয়া উচিত ছিল। মন্দ ভাগ্য কি আর করব। সবকিছু শেষ হতে অনেক রাত হয়ে গেল। রাতের বারটায় ২১ তারিখ। আর মহান শহীদ দিবস। আমরা সবাই শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য দাড়িয়ে একুশের গানটা গাওয়া শুরু করলাম। এর মাঝে এক ভাই গানটার লিরিক ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে দেখে দেখে বেসুরো গলায় গাওয়া শুরু করল। উনি মনে হয় ভুলে গেছে একটু নরম সুরে গানটা গাইতে হয়। আমার তো এমন ভীষণ হাসি পেল, তার মধ্যে এমন কা- দেখে হাসি থামাতে পারছিনা। খুব শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছি এখন হাসা মানেই ধমক খাওয়া কারণ আমার পাশে শরীফ আছে। আগের রাতের মত এই রাতেও গান হল। সব হল।

শেষ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেকে চলে গেছে। অনেকে যাওয়া জন্য রেডি হচ্ছে। আমরা আগে নাস্তা করলাম। তারপরে রেডি হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। চারদিকে তাকালাম। আমার মনটা একটু একটু করে খারাপ হচ্ছে। আনন্দের সময়গুলো অনেক কম হয় কেন? শেষ হয়ে গেল ছয় মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া সেই মুহূর্তুটুকু। সবাই এখানে কেমন যেন একই সুতোই নিজেদের বেধে নিয়েছে। সবাই সবার কত আপন হয়ে যায় তা শুধু আমরা হয়তো বাঙ্গালি বলেই সম্ভব। এখানে শেষ, নিবে গেল লাখের বাত্তি। আবার হয়তো জ্বলে উঠবে নতুন নতুন বাউন্ডুলের আগমনে। তবে যত যাই বলি না কেন, শেষে শুধু বলতে চাই, “এটা ছিল আসলে ব্যাপক বিনোদন আর বিনোদন। শুধু খাওয়া আর খাওয়ার ভ্রমণ”।
