এলোমেলো কথাবার্তা ১০

হিশাব করে দেখলাম সলিমুল্লাহ স্যারের সঙ্গে কাজ করতেছি দুই মাস কম তের বছর। প্রথম প্রায় এক বছর স্যারের একদম ধারে কাছে যাই নাই। ভয় লাগতো ভয়ঙ্কর মনে হইত। বছরখানেক পরে কাক থেকে সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু আমাকে রাখা হইল। তখন আর দূরে দূরে থাকার উপায় নাই। কাছে থেকেই কাজ করতে হয়েছে। মাঝখানে সব সময় মাধ্যম হিশাবে ছিলেন রাসেল ভাই। পরবর্তীতে সেই কাছে অনেক কাছের।
 
একটা সময় ভয়ঙ্কর মানুষটা আস্তে আস্তে আমার কাছে সুন্দর হয়ে উঠলো। কেন ভয়ঙ্কর ছিল আর কেনই বা সুন্দর হয়ে উঠল অথবা ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্কর সুন্দর হয়ে উঠল সেই গল্পের বিস্তারিত ভবিষ্যতে হবে। স্যারের লেখালেখি খুব একটা বুঝতাম না। এখনো খুব ভালোমতো বুঝি সেটা বলা যাবে না।
 
স্যারের লেখার চাইতে আমাকে সব সময় আকর্ষণ করতো বা এখনো করে তাঁর লেখার নাম দেয়া। এমনকি বইয়ের নাম দেয়া, পত্রিকার নাম দেয়া। চিন্তা করে দেখলাম এই নাম দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে নামটা আমাকে মুগ্ধ করেছে সেটা হলো একটা প্রবন্ধের নাম। প্রথম দিককার অক্ষর বিন্যাসের সময় এই নামটা পেয়েছিলাম। সেটা ছিল একটা ধাক্কা দেয়ার মতো। একটা প্রশ্নর সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া, একটা নতুন চিন্তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া।
 
লেখার নামটা ছিল, ‘গোলাপ কেন পূজায় নাই?’

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.