প্রথমেই শুরু করি নিজের নাম দিয়ে। আমার নামে প্রথমে মোহাম্মদ সংক্ষেপে মো: দিয়ে লিখি। ইংরেজিতে লিখতে গেলে এমডি (MD) দিয়ে লিখি। এই এমডি কোথা থেকে আসলো? শুধু এম (M) হলেই তো হতো। এবার আসি মেয়েদের নামের ক্ষেত্রে, অনেকেই নামের আগে মোসাম্মদ থাকে। সংক্ষেপে মোসা:, ইংরেজিতে লিখতে গেলে এমএসটি (MST)। প্রথমে এমডি অথবা এমএসটির নিশ্চয়ই কোন ব্যখ্যা আছে।
অনেকের নামেই সংক্ষেপে শুধু এক অক্ষর দিয়ে লিখে, যেমন- মাইনুল ইসলাম রাহাত। রাহাত ভাই আগে ফেসবুকে এম ইসলাম রাহাত (M Islam Rahat) লিখতেন। এখন তিনি বাংলাতেই লিখেন, মাইনুল ইসলাম রাহাত।
এবার আসি আমার কাছে যা অস্বাভাবিক লাগে সেই বানানে। আমি যে এলাকায় বড় হয়েছি, সেই এলাকায় এক নানা ছিলেন, তাঁর নাম ছিল এসএম আব্দুল হাকিম। এই এসএম এর মানে সৈয়দ মোহাম্মদ। আমার প্রশ্ন হল বাংলা লিখতে গেলে কেন এসএম লিখতে হবে?
এবার আসি একটু কাছের মানুষের দিকে। আমার রাসেল ভাই নিজের নাম লিখেন একেএম আতিকুজ্জামান। একেএম দিয়া বুঝায় আবুল খায়ের মোহাম্মদ। ইংরেজিতে লিখলে এভাবে লিখতে হয়, AKM Atikuzzam। বাংলায় লিখতে গেলে তিনি ইংরেজি অক্ষরগুলি বাংলায় বানান করে লিখেন একেএম।
এবার দেখি আরেকজনের নাম। সেইফের মশিউর ভাই বাংলায় মশিউর র. খন্দকার লিখেন। র. মানে রহমান। তিনি ইংরেজি শব্দটি বানান করে ‘আর’ লিখেন না।
এবার আসেন দুয়েকজন পরিচিত মানুষের নামের বানানের সংক্ষিপ্ত রূপ দেখি। আমাদের দেশের বিখ্যাত এসএম সুলতান। তাঁর এসএম-এর মানে কি জানেন? শেখ মোহাম্মদ। অর্থাৎ তাঁর নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান।
আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আ আ ম স এর মানে, আবু আহসান মোহম্মদ সামসুল আরেফিন সিদ্দিক। তিনি ইংরেজিতে লিখেন AAMS Arefin Siddique। কিন্তু বাংলায় এএএমএস লিখেন না!