মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল

রুবেল ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় বছর দুয়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে। ১৪২৪ সালের শ্রাবণ মাসের কোন একদিন ফেসবুকে ম্যাসেজ পাঠালেন,

‘ছফার প্রতি আগ্রহ এবং “যুগ ও হুজুগের সাইক্লিস্ট। হুজুগের সাইক্লিস্টরা হারিয়ে গেছে, হারিয়ে যায়। এটাই নিয়ম। আর যুগের সাইক্লিস্টরা টিকে থাকবে…”’

এই লেখাটা দেখে ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট পাঠালাম। তাঁর পরের প্রশ্নটা ছিল এই রকম: ‘বই করবা?’

উনার ঢাকা প্রকাশ নামে একটা প্রকাশনা আছে চাইলে আমি ওখান থেকে বই বের করতে পারি। এ ছাড়াও কোন সহযোগীতা লাগলে যেন অবশ্যই নক দেই।

এর পরে আমাদের বিচিত্র বিষয় নিয়া কথাবার্তা হইছে। দুয়েকবার দেখা হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু দুইজনের নানা রকম ব্যস্ততার কারণে কোনদিনই দেখা হয় নাই।

আমার ৬৪ জেলার উপর বই অবশ্য উনার কাছে ছাপানো হয় নাই। ছাপাইতে হয়েছিল আগামী প্রকাশনী থেকে। কারণ রাসেল ভাই আগামীর মেনন ভাইয়ের আগেই বলে রেখেছিলেন। এবং কথাবার্তা একরকম ফাইনালই ছিল।

তবে ৬৪ জেলা বইটা বের হওয়ার কয়েকদিন পরেই বই নিয়া রুবেল ভাই ম্যাসেজ করেছিলেন। ম্যাসেজটা ছিল এই রকম, ‘অনেকদিন পরে সাবলীল লেখা পড়লাম। এক বসাতেই অর্ধেকটা শেষ।’ পাশাপাশি দাওয়াত দিলেন, অবশ্যই অফিসে আসবা। অফিসের পাশেই স্টার সেখানে তোমার কাচ্চির দাওয়াত।

বই ভাল লাগার উপহার হিশাবে কাচ্চির দাওয়াতটা খারাপ না। সঙ্গে আরো একটা দাওয়াত দিয়েছিলেন। কোনদিন যদি নারায়ণগঞ্জ যাই তাহলে বোস কেবিনের পোলাও আর খাসির দাওয়াত। একসঙ্গে দুইটা দাওয়াত। এই দাওয়াত অবশ্যই সানন্দে গ্রহণ করেছি।

আজ হঠাৎ অফিস থেকে আগে আগে ছাড়া পাওয়াতে দেখা করতে গেলাম। সেখানে আমার জন্য উপহারস্বরূপ সুন্দর একটা ডায়েরি অপেক্ষা করতেছিল। ডায়েরির ভিতরের হাতের লেখাটাও সুন্দর। মুনীর হোসেন সরকারের একটা গানের লাইন, ‘মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল’। আমার অসম্ভব প্রিয় একটা গান।

বইয়ের কল্যানে এইটা আমার দ্বিতীয় উপহার বলা যায়।

তবে স্টারের কাচ্চি আর বোস কেবিনের খাবার এখনো পাওনা আছে। ভবিষ্যতে ঐগুলাও হবে আশা করা যায়।

১ শ্রাবণ ১৪২৬

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.